ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় সংঘর্ষে আ’লীগ সভাপতিসহ আহত-১৩

পেকুয়া প্রতিনিধি :: পেকুয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের ইউনিয়ন সভাপতিসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ৮ মে (শুক্রবার) দুপুর ৩ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিরাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই এলাকার মৃত জিন্নত আলীর ছেলে আ’লীগ সদর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এম আজম খান (৫২), তার ভাই জয়নাল আবেদীন (৪৬), জসিম উদ্দিনের ছেলে আরফান উদ্দিন (২১), মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী জামানা বেগম (৪৬), রুস্তম আলীর মেয়ে লিলি (৩৫), দুলা মিয়ার ছেলে জিয়াবুল করিম (৪০), জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী সাজেদা বেগম (৩৫), আফতাব উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিন (৩২), মৃত এমদাদ মিয়ার ছেলে আফতাব উদ্দিন (৬০), আফতাব উদ্দিনের স্ত্রী পারভীন আক্তার (৪৫), মো: কাইছারের ছেলে বাহাদুর (১৫), আবুল কাসেম বৈদ্যের ছেলে মো: কাইছার (৪০), কাইছারের মা লায়লা বেগম (৬০)। এদের মধ্যে আফতাব উদ্দিনের স্ত্রী পারভীন আক্তার ও ছেলে সালাহ উদ্দিনকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, ওই দিন বিকেলে আ’লীগ সদর ইউনিয়নের সভাপতি এম,আজম খান নিজ বাড়ি সিরাদিয়া থেকে পার্শ্ববর্তী মৎস্য ঘেরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাকে প্রাণনাশ চেষ্টা চালানো হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার আবুল কাশেম বৈদ্যের ছেলে কাইছার উদ্দিন, মৃত এমদাদ মিয়ার ছেলে আফতাব উদ্দিন, তার ছেলে সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের দুবৃর্ত্তরা আ’লীগ নেতা আজম খানকে হত্যার জন্য হামলা চালায়। এ সময় তার আর্তচিৎকারে ছোট ভাই জয়নালসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই স্থানে ছুটে যান। হামলাকারীরা আজম খান, জয়নালসহ এদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এম, আজম খান জানান, কাইছারসহ হামলাকারীরা ভয়ংকর সন্ত্রাসী। তারা গত ৩ বছর আগে আমার ভাতিজা কফিল উদ্দিনকে গুলি ঁেছাড়ে হত্যা করেছে।

এ হত্যাকান্ডে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জেল থেকে আসার পর থেকে মামলা প্রত্যাহার করতে আমাকে ছাপ প্রয়োগ করছিল। দীর্ঘদিন থেকে হুমকি ও ধমকি দিচ্ছিলেন। মূলত এর সুত্র ধরে কাইছার, আফতাব উদ্দিনসহ খুনীচক্র আমাকে হত্যার মিশনে নেমেছে। ঘটনার দিন আমি প্রজেক্টে যাওয়ার সময় তারা পরিকল্পিতভাবে আমার উপর হামলা চালায়। এর সুত্র ধরে তারা আমি ও আমার পরিবারের এ সব সদস্যদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।

তবে এ বিষয়ে অপর পক্ষ আফতাব উদ্দিন গং জানান, আ’লীগ নেতা আজম খান ও তার ভাই জয়নালসহ একটি সন্ত্রাসী চক্র ঘটনার দিন বিকেলে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তারা স্বশস্ত্র অবস্থায় বাড়ি ঘর ভাংচুরসহ নিষ্টুর আক্রমন করে। এতে আফতাব উদ্দিনসহ এ পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে।

আহত কাইছার জানান, আজম খান ও জয়নাল গং ২০ দিন আগে আমাকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে সিরাদিয়ায় উল্টানাশি নামক স্থানে প্রাণনাশ চেষ্টা চালায়। এরপর আমার ৮ বছর বয়সী শিশু কনেকে দু’দফা মারধর করে। ঘটনার দিন তারা আমার এ শিশু কনেকে পিটিয়ে আহত করে। পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে।

পাঠকের মতামত: